বাকিতে মিলছে না তেল, চলছে না অ্যাম্বুলেন্স

Looks like you've blocked notifications!
চলতি মাস থেকে অকেজো হয়ে পড়েছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। ছবি : এনটিভি

ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি তেলের দাম বাকি পড়েছে। ওই বকেয়ার পরিমাণ সাত লাখ টাকা। বকেয়া করেছে সাতক্ষীরা আধুনিক হাসপাতাল। ফিলিং স্টেশনটি জানিয়েছে দিয়েছে, আর বকেয়া নয়। আর এ কারণে বন্ধ হয়ে আছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সগুলো।

সাতক্ষীরার খান ফিলিং স্টেশন থেকে ওই হাসপাতালের জন্য জ্বালানি তেল কেনা হয়। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সাত লাখ টাকা বকেয়া রাখা হয়। সম্প্রতি খান ফিলিং স্টেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকিতে আর তেল দেওয়া হবে না। চলতি মাস থেকে সাতক্ষীরা আধুনিক হাসপাতালকে তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে খান ফিলিং স্টেশন।

আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে আছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চলাচল। বেড়েছে রোগীদের দুর্ভোগ। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন উৎপল কুমার দেবনাথ জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জ্বালানি তেল পেট্রল ক্রয় খাতে সাত লাখ টাকা বকেয়া আছে। স্থানীয় খান ফিলিং স্টেশন থেকে ওই তেল কেনা হয়। তবে আর বাকিতে তেল দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ওই প্রতিষ্ঠান।

উৎপল কুমার বলেন, ‘চলতি জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে তারা পেট্রল না দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চলছে না। এতে করে জরুরি রোগীদের ভোগান্তি ও কষ্ট বেড়ে গেছে। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে রোগী স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

উৎপল কুমার আরো বলেন, ‘দুই-একদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে লোক পাঠানো হবে জ্বালানি তেলের টাকা সংগ্রহের জন্য।’ তবে কবে নাগাদ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালু করা যাবে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

সাতক্ষীরা সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা সম্পর্কে উৎপল কুমার আরো জানান, এই হাসপাতালে প্রয়োজন ২৭ জন চিকিৎসক, অথচ আছেন মাত্র ১২ জন। ১০০ শয্যার হাসপাতালে বেড থাকলেও রোগীর সংখ্যা ২২৪ জন। আর হাসপাতালে রয়েছেন মাত্র  ছয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

সিভিল সার্জন আরো জানান, হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন নষ্ট। এ ছাড়া স্ক্যানিং মেশিনও টেকনিশিয়ানের অভাবে বন্ধ আছে।