আজ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করবেন ১১ বনদস্যু

Looks like you've blocked notifications!

সরকারের কাছে সাধারণ ক্ষমা চেয়ে বনদস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আজ শুক্রবার সকালে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর সদস্যরা।

সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে বনদস্যু প্রধান ইলিয়াস, মজনুসহ তাঁদের বাহিনীর ১১ সদস্য ১৭টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০০ গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন।

আত্মসমর্পণ করতে যাওয়া বনদস্যুরা হলেন—মজনু বাহিনীর প্রধান মজনু গাজী, মো. বাবুল হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রহমত, মো. ইদ্রিস আলী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মজনু শেখ, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে ইমদাদুল, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো এনামুল হোসেন এবং ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো নাসির হোসেন।

আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের বাড়ি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৮ (র‌্যাব)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনী বনদস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য এরই মধ্যে তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ র‌্যাবের কাছে জমা দিয়েছে। দুযোগপূর্ণ আবহওয়া না থাকলে আজ সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিএফডিসি জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের উপস্থিতিতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন।’

ফরিদুল আলম জানান, এর আগে গত ৩১ মে সুন্দরবনের বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান মাস্টারসহ ১০ বনদস্যু অর্ধশতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর ১১ সদস্য আত্মসমর্পণ করছেন। বর্তমানে মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর প্রধানসহ ১১ বনদস্যু র‌্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। বৈরী আবহওয়ার কারণে হেলিকপ্টারে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোংলায় না আসতে পারলে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ পিছিয়েও যেতে পারে।

জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে বর্তমানে সবচেয়ে বড় বনদস্যু দল হিসেবে মজনু বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত জেলে ও বনজীবীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলেন। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় টিকতে না পেরে গোটা সুন্দরবনের একসময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান ভারতে আশ্রয় নিলে ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ইলিয়াস নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। ওই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে দস্যুতা চালিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে ইলিয়াস ক্রসফায়ারে প্রাণ হারানোর ভয়ে ভারতে পালিয়ে গেলে তার বাহিনী অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে তারাও আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়।