অস্ত্র সমর্পণ করল ১১ বনদস্যু

Looks like you've blocked notifications!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আজ দুপুরে অস্ত্র জমা দেয় সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনী। ছবি : এনটিভি

বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিএফডিসি জেটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনী।

আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে অস্ত্র সমর্পণ করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় অস্ত্র সমর্পণের কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় অনুষ্ঠানিকতায় বিলম্ব হয়।

ওই সময় দুই বাহিনীর ১১ দস্যু ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে জমা দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপস নয়। দেশের কোনো স্থানে সন্ত্রাস বলেন, দস্যুতা বলেন থাকতে দেওয়া হবে না।’

অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, খুলনা ও বাগেরহাটের স্থানীয় প্রশাসন, র‍্যাব ও পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুরা হলেন—মজনু বাহিনীর প্রধান মজনু গাজী, মো. বাবুল হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রহমত, মো. ইদ্রিস আলী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মজনু শেখ, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে ইমদাদুল, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো এনামুল হোসেন এবং ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো. নাসির হোসেন।

আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের বাড়ি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে বর্তমানে সবচেয়ে বড় বনদস্যু দল হিসেবে মজনু বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত জেলে ও বনজীবীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিলেন। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় টিকতে না পেরে গোটা সুন্দরবনের একসময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাধর বনদস্যু রাজু বাহিনীর প্রধান ভারতে আশ্রয় নিলে ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ইলিয়াস নিজ নামে বাহিনী গড়ে তোলেন। ওই বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে দস্যুতা চালিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে ইলিয়াস ক্রসফায়ারে প্রাণ হারানোর ভয়ে ভারতে পালিয়ে গেলে তার বাহিনী অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে তারাও আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়।