মাকে নির্যাতন

‘ক্ষুব্ধ কিশোরের’ হাতে বাবা খুন

Looks like you've blocked notifications!

বাগেরহাটে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে। মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধারা গ্রামে আজ সকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশসহ নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত হাবিবুর রহমান হাওলাদারের (৫৮) ঘাড়ে দা দিয়ে কোপ দেয় তাঁর ছেলে জাহিদুল হাওলাদার (১৪)। 

ঘটনার পর থেকে জাহিদুল পলাতক। মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবুরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে  জানা গেছে, হাবিবুরের ছিল অভাব-অনটনের সংসার। তিনি নিয়মিত স্ত্রীকে পেটাতেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মায়ের ওপর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে জাহিদুল বাবাকে খুন করে। এর আগে জাহিদুলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এলাকার সূত্রে জানা গেছে, কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথেও জড়িত ছিল না সে।

নিহত হাবিবুরের স্ত্রী ও জাহিদুলের মা সুফিয়া বেগম এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিয়ের পর থেকে তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর ও গালিগালাজ করতেন। গত দুদিনেও স্বামী তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি মারাত্মক আহত হন। বাধা দিলে ছেলে জাহিদুলকেও বেদম পেটান বাবা হাবিবুর। সোমবার সকালে দা নিয়ে হাবিবুর তাঁকে (সুফিয়াকে) মেরে ফেলার জন্য তাড়া করেন। এ সময় বাবার হাত থেকে দা কেড়ে নেয় ছেলে জাহিদ। বাবা হাবিবুর জাহিদুলকে তাকে লাথি মেরে দা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে জাহিদুল হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে দা দিয়ে বাবাকে কোপ দেয়।

সুফিয়া বেগমের ভাই নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম মৃধা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অভাব-অনটনে থাকলেও হাবিবুরের ছিল বিয়ের শখ। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। সুফিয়া ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। কিছুদিন ধরেই আরেকটি বিয়ের কথা নিয়ে তাঁর বোন সুফিয়া বেগম ও হাবিবুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল।