পুলিশের তাড়া খেয়ে ‘চোরাকারবারি’র মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া বাজারের কাছে যশোরের শার্শা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে আবদুল খালেক (৫০) নামের এক ‘চোরাকারবারি’র রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবদুল খালেকের মৃত্যু হয়।

আবদুল খালেক যশোরের শার্শা উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে একটি ল্যাম্পপোস্টে আঘাত পান আবদুল খালেক। এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশের ভাষ্য, আবদুল খালেক একজন দাগি ইয়াবা ও ফেনসিডিল চোরাকারবারি। কলারোয়া ও শার্শা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি চোরাচালান মামলা রয়েছে। 

গয়ড়া গ্রামের কিছু লোক জানান, রাতে ভবানীপুর গ্রামের চোরাকারবারি আবদুল মাজেদের বাড়িতে ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছিল। গ্রামটি সাতক্ষীরার কলারোয়া ও যশোরের শার্শা থানার সীমানায় হওয়ায় দুই থানার পুলিশ দুই দিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে তাড়া করে। এ সময় শার্শা থানা পুলিশের হাতে মাজেদ ও তাঁর সহযোগী লাল্টু ধরা পড়ে যায়। অন্যদিকে কলারোয়া থানা পুলিশ উদ্ধার করে ১০০ বোতল ফেনসিডিল। 

দুই থানার পুলিশের তাড়া খেয়ে দৌড় দেন আবদুল খালেক। এরপরই তিনি ল্যাম্পপোস্টে আঘাত পেয়ে পড়ে যান। সেখানেই মারা যান তিনি । খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

জানতে চাইলে যশোরের শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুই থানার পুলিশ খবর পেয়ে একই সময়ে অভিযান চালায়। এ সময় দুজন ধরা পড়লেও দৌড়ে পালাতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান খালেক।’
 
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু। এর জন্য কোনো থানার পুলিশ কিংবা সাধারণ মানুষ কেউই দায়ী নন।’