পটুয়াখালীতে হিন্দু পরিবারের বসতভিটা দখলের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীতে হিন্দু পরিবারের বসতভিটা দখল করে সাইডবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলীপুর বন্দরে মারধর করে হিন্দু পরিবারের বসতঘর ও জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী বিষ্ণু কর্মকারের বাসায় ঢুকে তাঁর স্ত্রী নয়ন কর্মকারের (৩৫) শ্লীলতাহানি ও তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া বিষ্ণু কর্মকারের জমিতে ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবি করে একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাইনবোর্ডে নিরব হোসেন টুটুল, এস এম হুমায়ুন কবির, কাজী মুনির উদ্দিন তারিক, মিজান চৌধুরীর নাম উল্লেখ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে দখলের সময় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সাদিক আবদুল্লাহর নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অবশ্য সাদিক আবদুল্লাহ এ অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন।

পটুয়াখালী প্রথম জজকোর্টে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের রয়েছে। ওই মামলায় বিষ্ণু কর্মকারকে প্রধান বিবাদী ছাড়া ছয়জনের নাম রয়েছে।

এদিকে, বাটোয়ারা মামলার কোনো নিষ্পত্তি ছাড়াই শনিবার বিকেলে অন্যত্র হস্তান্তরের সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে জবরদখলে যায় জগদীশ বেপারী ও তাঁর লোকজন।

বিষ্ণু কর্মকার অভিযোগে বলেন, ‘আমি ক্রয়সূত্রে ঘর নির্মাণ করে ৩৬ বছর ধরে ওই জমিতে বসবাস করছি। সম্প্রতি জগদীশ বেপারী আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু আদালত থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই আমার জমি ও বাসা জবরদখল করে নিয়েছে। ভাড়াটে মাস্তান দিয়ে আমার স্ত্রী ও পুত্রকে মারধর করেছে।’

এ ব্যাপারে জগদীশ বেপারী বলেন, ‘আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বিষ্ণু কর্মকার। আমরা দখলমুক্ত করতে ব্যবস্থা নিয়েছি মাত্র।’ বাটোয়ারা মামলা করে জবরদখলে যাওয়া যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জগদীশ বেপারী বলেন, ‘বৈধ বা অবৈধ বুঝি না, জমি আমাদের, তাই দখলে এসেছি।’

এ ঘটনার বিচার চেয়ে মহিপুর থানায় বিষ্ণু কর্মকার অভিযোগ দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হুমকি-ধমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘হামলা ও মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বরিশালের কয়েকজন লোক ওই জমিটা বায়না করেছে বলে শুনেছি। এ ছাড়া বিষ্ণু কর্মকার এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’