গোপালগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ
গোপালগঞ্জে সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় হাসিনা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকরা অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষী চিকিৎসকের বিচারের দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত (স্ট্রোক) সমস্যা নিয়ে হাসিনা গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এরপর বারবার কর্তব্যরত সেবিকাদের জানালেও তাঁরা কোনো গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ করেন হাসিনা বেগমের ছেলে মিজানুর শরীফ। তিনি বলেন, ‘বিনা চিকিৎসায় রাত সোয়া ১২টার দিকে মা মারা যান।’
মেডিসিন ওয়ার্ডে ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘আমি ওই সময় ওয়ার্ডেই ছিলাম। দায়িত্বে কোনো অবহেলা করা হয়নি। রোগীর ফাইল আপনারা দেখতে পারেন। ওয়ার্ডে আমার স্বাক্ষর আছে।’
গোপালগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন এস এম সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোগীকে আমরা বাঁচানোর নিশ্চয়তা দিতে পারব না। রোগীর সঠিক চিকিৎসা হলে, কাছে চিকিৎসক থাকলে স্বজনরা সন্তুষ্ট থাকে।’
সিভিল সার্জন আরো বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের অভিযোগ যে তাঁরা চিকিৎসকই পাননি। এটা তো অন্যায়। গুরুতর অন্যায়।’
যাঁর বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ এনেছেন, সেই চিকিৎসক সম্পর্কে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বরখাস্ত করার ক্ষমতা আমার নেই। তাঁর বিরুদ্ধে আমি লিখতে পারব। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটি হবে, সে কমিটি প্রতিবেদন দেবে।’ তিনি আরো জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে হাসপাতালের চিকিৎসক পরিমল সরকারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।