পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক : বিজিবি মহাপরিচালক

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁয় ৪৩ বিজিবি সদর পরিদর্শন শেষে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ পিএসসি। ছবি : এনটিভি

দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ পিএসসি। এ সময় তিনি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিজিবিও মাঠে থাকবে বলে জানান। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁয় ৪৩ বিজিবি সদর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে সারা দেশে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে অন্যান্য বাহিনীর পাশে থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি। এর ফলে দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তা পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে যতদিন প্রয়োজন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের সাথে বিজিবিও ততদিন কাজ করবে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির প্রধান বলেন, ‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ড কখনো কাম্য হতে পারে না। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এসব হত্যাকাণ্ডে বিএসএফের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কেউ অন্যায়ভাবে বা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করলে তা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। 

মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিজিবির কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিজিবির একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব ১০ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। পক্ষান্তরে বিএসএফের এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পের দূরত্ব সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটার। 

‘এ ছাড়া ভারতের সীমান্ত বরাবর পাকা রাস্তা রয়েছে, যা আমাদের নেই। তারপরও এই জনবল দিয়ে চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটারের বিশাল সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুরক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের সৈনিকরা অত্যন্ত সাহসী এবং দক্ষ।’ 

এ সময় বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, রাজশাহী সেক্টর কমান্ডের উপমহাপরিচালক কর্নেল কে এম ফেরদাউসুল শাহাব, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান এবং ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক ৪৩ বিজিবি সদরের ইউনিট এলাকা পরিদর্শন এবং ব্যাটালিয়ন সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।