সহায়তা পেলে স্বাভাবিক হতে পারে শিশু অমৃত
বাগেরহাটের মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বানবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমৃত রায় (৯)। তার এক হাত ও এক পা কাজ করে না ঠিকমতো। অর্থের অভাবে অভিনব পন্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধী এ শিশুটিকে।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে অমৃতের দুই পা বেঁধে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটা কবিরাজের চিকিৎসা। যথাযথ চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। অমৃতের দিনমজুর বাবার কাছে নেই এত টাকা।
অমৃতের বাবা পীযূষ কান্তি রায় পেশায় একজন দিনমজুর। মা পরিতা রায় গৃহিণী।
পীযূষ ও পরিতার দুই ছেলেমেয়ে। মেয়ে স্মৃতি রায় স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এখন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। আর অমৃত রায়ের এ বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা।
পরিতা রায় জানালেন, নয় বছর আগে তাঁর কোলজুড়ে আসে অমৃত রায়। জন্মের সময় স্বাভাবিকই ছিল সে। দুই বছর বয়স পার হওয়ার আগেই আকস্মিক জ্বরে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। তারপর তাকে নিয়ে পরিবারের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় এখান থেকে সেখানে। নানা রকম চিকিৎসা ব্যবস্থায় ছুটতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে তার পরিবার।
দিনমজুর বাবাও এখন আর অবুঝ শিশুর চিকিৎসা ব্যয়ের জোগান দিতে পারছেন না। এমনকি মাথা গোঁজার ঠাইটুকু নেই তাঁর পরিবারের। গ্রামের কমিউনিটি হাসপাতালের সরকারি জমিতে খড়-কুটার ঘরে কোনোমতে বসবাস। যখন তখন এখান থেকে উচ্ছেদ হওয়ারও রয়েছে শঙ্কা।
একমাত্র ছেলেশিশুর দুর্বিষহ জীবনের দুশ্চিন্তায় অবিরাম কান্না আর নিদ্রাহীনতায় রাত কাটছে মা পরিতা রায়ের। ছেলের চিকিৎসাব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে আঁচল দিয়ে নিদ্রাহীন চোখ মুছতে মুছতে পরিতা বলেন, ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। এত টাকার জোগান নেই বলেই কবিরাজের দেওয়া চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হচ্ছে।
পরিতা রায় জানান, ওই পদ্ধতি অনুসারে, সকালে ও রাতে দুই ঘণ্টা করে অমৃতের দুই পা একত্রে করে দাঁড় করিয়ে বেঁধে রাখা হয় কাঠের তৈরি থেরাপি বাক্সে। আর দিনের বাকি সময় কাটে বিছানায়।
এ ব্যবস্থায় কতটুকু সেরে উঠবে এ শিশুটি তা জানা নেই পরিবারের। হয়তো চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার জোগানই পাল্টে দিতে পারে শিশুর জীবন। আর সে জন্য দেশের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে পরিবারটি।
অমৃতকে সাহায্য করতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২১৭৫৭৬৩৯ (বিকাশ নম্বর) নম্বরে।