শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় নড়াইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। আগামী ২৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

আদালত থেকে বেরিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী আজিজুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

জেলার কালিয়া উপজেলার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মো. রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে রায়হান ফারুকী বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ। আমি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সখ্যার প্রতিও দৃঢ়বিশ্বাসী।’

বাদী বলেন, “উপরোক্ত আসামি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। গত ২১-১২-১৫ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আজ বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতজন শহীদ হয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।’ এ ছাড়া  তিনি একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামির এই বক্তব্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং পরের দিন ২২-১২-১৫ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুর গৌরবজনক ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাদী এ মামলাটি দায়ের করেছেন।

বাদী রায়হান ফারুকীর বাড়ি জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামে। এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মফিজুল হক, নড়াগাতী থানার দক্ষিণ যোগানিয়া গ্রামের মো. ইকতারুজ্জামান, বাগুডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লাকে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম জানান, বাদীর নালিশের ভিত্তিতে ৫০০/৫০১/৫০২ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।