নিহত ‘জঙ্গি’র একজন নোয়াখালী সরকারি কলেজের

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশ ও সোয়াতের যৌথ অভিযানে নিহত নয় ‘জঙ্গি’দের মধ্যে একজনের নাম জুবায়ের। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ জানান, নিহত ‘জঙ্গি’ জুবায়ের হোসেইন (২০) পশ্চিম মাইজদীর সুধারাম উপজেলার আব্দুল কাইয়ুম এবং আয়েরা বেগমের ছেলে। জুবায়ের নোয়াখালী সরকারি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে পুলিশ সুপার আরো জানান, গত মে মাস থেকেই নিখোঁজ ছিলেন জুবায়ের। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রকাশিত নিখোঁজের তালিকায় থাকা পাঁচজনের মধ্যে তিনিও একজন। সন্দেহভাজন হিসেবে জুবায়েরের ব্যাপারে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে তথ্য পাঠানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পুলিশের প্রকাশ করা ছবি দেখে আজ বুধবার সকালে জুবায়েরের বাবা ছেলেকে শনাক্ত করেন। তবে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ শনাক্ত করতে জুবায়েরের বাবা-মাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এদিকে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, নিহত জুবায়েরের চাচাতো ভাই বাহাদুর জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় কর্মী। সে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নিহত জুবায়েরকে জামাত-শিবিরের সঙ্গে এসে জঙ্গি হামলার কাজে প্ররোচিত করে। তবে এ মুহূর্তে বাহাদুর কোথায় রয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

এ নিয়ে নিহত নয়জনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেল। অন্য দুজন হলেন চট্টগ্রামের সাব্বিরুল হক কনিক এবং ঢাকার সাজ্জাদ রউফ অর্ক।

গত সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত সাততলা ভবনটিতে অভিযানে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ভবনের পঞ্চম তলা থেকে জঙ্গিরা ককটেল ছোড়ে। পরে ভবনটির আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

জাহাজ বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলের আশপাশের সবকটি সংযোগ সড়কেও ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।

রাতভর পরিকল্পনার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টিসিক্স’। ঘণ্টাখানেক মুহুর্মুহু গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন।

অভিযান শেষে পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হাসান জানান, নিহত নয় জঙ্গির সবার পরনেই ছিল কালো রঙের পোশাক।