রাখাইনদের জলকেলি উৎসব শুরু

কক্সবাজারে রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রে পোয়ে (জলকেলি) উৎসব শুরু হয়েছে। রাখাইন নববর্ষের শুরুতে সাংগ্রের জলে সিক্ত হয়ে পুরোনো বছরের সব গ্লানি, জরাজীর্ণতা ধুয়ে মুছে জীবনকে শুভ্র সুন্দর করার প্রত্যাশা নিয়ে আনন্দে মেতেছে। ১৩৭৬ পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রাখাইন নববর্ষ ১৩৭৭।
রাখাইন সম্প্রদায়ের কাছে পানি হচ্ছে পবিত্রতার প্রতীক। তাই নতুন বছরের শুরুতে তারা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পবিত্র করে। পানিখেলায় অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে।
রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রে পোয়ে স্থানীয়দের কাছে জলকেলি বা পানিখেলা উৎসব হিসেবে পরিচিত। উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা আয়োজন। রাখাইন নারী-পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে নানারকম বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বৌদ্ধ কিয়াংয়ে যায়। ধর্মীয় আচরণ অনুষ্ঠান শেষে শোভাযাত্রা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় বিশেষভাবে তৈরি প্যান্ডেলে।এখানেই রাখাইন তরুণ-তরুণী, নারী-বৃদ্ধ শিশুরা পানিখেলায় অংশ নেন। এই উৎসবে শামিল হয়েছে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। তারাও রাখাইনদের এই উৎসব উপভোগ করে থাকে।
এই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে কক্সবাজারের রাখাইনপল্লী। প্যান্ডেলে অপেক্ষারত রাখাইন তরুণ-তরুণীরা পরস্পরের ওপর পানি নিক্ষেপ করলেই শুরু হয় পানিখেলা। এই সময়ে তারা নাচে গানে মেতে ওঠে। পান করে বিশেষ ভাবে তৈরি পানীয়।
কক্সবাজার শহরসহ জেলাব্যাপী রাখাইপল্লীগুলোতে চলছে এই উৎসব।
রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, চৈত্র সংক্রান্তি থেকে রাখাইনদের বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়ে চলে সপ্তাহজুড়ে। উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব পানিখেলা বৈশাখের চতুর্থ দিন থেকে শুরু হয়ে চলবে ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত।
এক রাখাইন তরুণী বলেন, ‘আমাদের রাখাইন নববর্ষ উৎসব শুরু হয়েছে। স্নান করে আমরা যেমন পরিষ্কার হয়ে যাই, তেমনি পানি দিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় করে নতুন বছরকে বরণ করি।