আ. লীগ নেতা অপহরণ : আগাম জামিন পেলেন জেএসএসের ১০ নেতা

Looks like you've blocked notifications!

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা মংপু মারমা অপহরণের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ১০ শীর্ষ নেতা। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ইলিয়াসুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও জাফর আহম্মদের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতে হাজির হয়ে ১০ আসামি আগাম জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত সবার আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। 

এদের মধ্যে রয়েছেন জেএসএসর কেন্দ্রীয় নেতা কে এস মং, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক জলি মং, জেলা জেএসএসের সাবেক সভাপতি সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, জেএসএস জেলা সভাপতি উছো মং, সাধারণ সম্পাদক ক্যবা মং, নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অং থোয়াইচিং মারমা, জেএসএস নেতা শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিজয় চাকমা প্রমুখ। 

এদিকে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মংপু মারমার খোঁজ মেলেনি অপহরণের ৪৬ দিন পরও। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন রাতে জেলার জামছড়িপাড়া থেকে বান্দরবান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মংপু মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। 

এ ঘটনায় অপহৃত নেতার মেয়েজামাই হ্লামংচিং মারমা বাদী হয়ে সদর থানায় জেএসএসের শীর্ষ নেতাদের নামসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। 

অপহরণের মামলায় পুলিশ জনসংহতি সমিতি জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক উচ চিং (৩৮), নেত্রী মেহ্লাচিং মারমা (৩৫) এবং সানু মং মারমা (২৫) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

অপরদিকে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের ১০ নেতা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। 

বৈঠকে জেএসএসের চাঁদাবাজি, অপহরণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানানো হয় বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর।

এদিকে অপহৃতকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ।