শব্দ বোমা ফাটিয়ে ফাটল ধরানো যাবে না : সেতুমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

শুধু শব্দবোমা, বিবৃতি ও ভাষণের বোমা ফাটিয়ে সাম্প্রদায়িক উগ্রাবাদীদের ভয়ঙ্কর অবস্থানে ফাটল ধরানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। তারা অস্ত্রবলে, অর্থবলে ও সাংগঠনিকবলে ভয়ঙ্কর অবস্থান তৈরি করেছে সক্ষমতার দিক দিয়ে। আমরা যদি মনে করি শব্দবোমা, বিবৃতি ও ভাষণের বোমা ফাটিয়ে এদের অবস্থানে বড় ধরনের ফাটল ধরানো যাবে তা সঠিক নয়। এদের ভয়ঙ্কর অবস্থানে শব্দবোমা ফাটিয়ে ফাটল ধরানো যাবে না। বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তুলনা করতে গেলে এরা একটা ভয়ঙ্কর অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে- তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। রাজনীতিতে আমাদের দেশে নীরবে নীরবে, তলে তলে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীরা শক্তি অর্জন করেছে। আমরা কাজ করি ইলেকশনের এক মাস, তারা কাজ করে সারা বছর। তাদের মহিলা-পুরুষ ঘরে ঘরে গিয়ে সারা বছর কাজ করে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাষণ দিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ভয়ঙ্কর অবস্থানকে ফাটল ধরানো ও দুর্বল করা যাবে না। অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে। সেটা নিতে হবে রাজনৈতিকভাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাঁর পাশে দাঁড়াতে হবে। বিচ্ছিন্ন দুর্বল ছোট ছোট প্রতিবাদ করে কোনো কাজ হবে না। এরা এত দুর্বল নয়। এদের আপনি শব্দবোমা ফাটালে এরা সবাই ফেটে যাবে, তাদের অবস্থানে ফাটল ধরবে- এমন স্বপ্ন যাঁরা দেখছেন তাঁরা দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছেন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতটা জানি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে জাতীয় সংগীতের পরিবর্তে গজল গাওয়ার রেওয়াজ চালু রয়েছে। আপনারা কি এসব খবর রাখেন, তলে তলে এসব কাজ যে হচ্ছে? বাংলাদেশের শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। এই কাজগুলোর দিকে আপনারা (নেতাকর্মীরা) খেয়াল রাখবেন।’ এ সময় তিনি নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সড়ককে ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুটে প্রশস্ত করবেন বলে জানান।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমা, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।