শিবচরে বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে, ত্রাণ বিতরণ শুরু

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার দুপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক কামালউদ্দিন বিশ্বাস। ছবি : এনটিভি

অব্যাহতভাবে পানি বেড়ে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। 

এদিকে বানভাসিদের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ মেট্রিক টন চাল, দেড় লাখ টাকার শুকনো খাবার ও নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

আজ শনিবার দুপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন জেলা প্রশাসক কামালউদ্দিন বিশ্বাস। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াছ পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

জেলা প্রশাসক কামালউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, পানি না কমা পর্যন্ত দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। শুরুতেই ৩০ মেট্রিক টন চাল, দেড় লাখ টাকার শুকনো খাবার ও নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিন পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মার চরাঞ্চল ছাড়াও আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আড়িয়াল খাঁ নদের প্রবল পানির তোড়ে উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব কাকৈরে বাজার রক্ষাবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের প্রায় ১০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে বহেড়াতলা বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকিতে রয়েছে।

এ ছাড়া একই নদের ভাঙনে সন্ন্যাসীর চর, পদ্মা নদীর ভাঙনে চর জানাজাত, কাঁঠালবাড়ী এলাকার তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে ঘরের মধ্যেই মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন।  এ সব এলাকার ফসলি মাঠ, স্কুলেও পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে নলকূপ। ফলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।