পদ্মার ভাঙন, বন্ধ আছে দৌলতদিয়ার দুটি ঘাট
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। এতে ২ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মার পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পর্যন্ত নৌপথে চলাচলকারী ১৮টি ফেরির মধ্যে ছয়টি বন্ধ রয়েছে। ১২টি ফেরি দিয়ে চলছে যানবাহন পারাপার। এ অবস্থায় নদীপারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাকসহ পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ২ নম্বর ফেরি ঘাটটির পন্টুনের মেরামত চলছে। এ ছাড়া ৪ নম্বর ঘাটটির অ্যাপ্রোচ সড়কের পাইলিংয়ের কাজ চলেছে। ঘাট দুটি চালু হতে আরো দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়নে পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি আছে। ২০০ পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ ঘোষ জানান, পদ্মার পানি বাড়ার ফলে নদী তীরবর্তী দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন দুটির বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না।