ভৈরবে আ. লীগের সংবাদ সম্মেলন

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ। ছবি : এনটিভি

দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ১৪ বছর আগে ২০০২ সালে গঠিত শহর আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে গত ২৫ জুলাই মো. জাকির হোসেন কাজলকে আহ্বায়ক ও মো. এনামুল হক জাহাঙ্গীরকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে আগের কমিটির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু ও সাধারণ সম্পাদক মো. শেফায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন বলয়ের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা ৩১ জুলাই রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরের দিন ১ আগস্ট সোমবার বিকেল সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা পালন করেন তাঁরা।

ওই সব কর্মসূচি থেকে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৯-এর (ঞ) ধারা অনুযায়ী, জেলা সদরে অবস্থিত শহর কমিটি এবং ‘ক’ (প্রথম) শ্রেণির পৌরসভার কমিটি উপজেলা কমিটির মর্যাদাপূর্ণ। তাই ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি কর্তৃক ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক।

আগের কমিটির নেতারা জানান, স্থানীয় সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন এবং জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে গঠনতন্ত্রমতে যদি বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত হয়, তবে সেটা তাঁরা মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন ইফতেখার হোসেন বেনু।

এসব ঘটনা ও কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৯-এর (ঞ) ধারামতে জেলা সদরের প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় গঠিত শহর কমিটিকে উপজেলা কমিটির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সব উপজেলার প্রথম শ্রেণির পৌরসভার শহর কমিটিকে নয়। তাই ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের মর্যাদা ইউনিয়ন কমিটির সমমর্যাদার হওয়ায় উপজেলা কমিটি সেটি ভাঙার বা বিলুপ্ত করার এখতিয়ার রাখে।

বর্ষীয়ান এই নেতা জানান, ২০০২ সালে গঠিত শহর কমিটির অনুমোদনও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত হয়েই অনুমোদিত হয়েছিল। তিনি তাঁদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘অনুমোদন দেওয়ার সময় এখতিয়ার মানি, বিলুপ্তির সময় মানি না। এটি দলের প্রতি কেমন আনুগত্য?’

ফখরুল আলম আক্কাছ বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা তৈরিকারী’দের অপতৎপরতা রোধে জেলা আওয়ামী লীগ ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্তপূর্বক বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে অনুমোদন করে চিঠি দিয়েছে। এ সময় তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান স্বাক্ষরিত একটি কপি সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব এস এম বাকী বিল্লাহ, শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন কাজল, সদস্য সচিব মো. এনামুল হক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

এ সময় উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির বেশ কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়কসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।