বৃষ্টির মধ্যেই গলাচিপা পৌর নির্বাচনের ভোট চলছে
টানা বর্ষণের মধ্যই চলছে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোট গ্রহণ। তবে বর্ষণের কারণে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।
পৌর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গলাচিপা পৌর নির্বাচনের মোট ভোটার ১৪ হাজার ৩৬১ জন। এদের মধ্যে সাত হাজার ২৭ জন পুরুষ আর সাত হাজার ৩৩৪ জন নারী।
পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আবদুল ওহাব খলীফা ও বিএনপির আবু তালেব মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪, ৫ ও ৬—এই তিন ওয়ার্ডে আঞ্জুমান আরা বেগম করুণা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ১, ২, ৩ এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ নির্বাচনের শুরু থেকেই ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাঁচটির মধ্যে তিনটি বুথে ধানের শীষ মার্কার এজেন্ট অনুপস্থিত দেখা যায়।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আ. মান্নান জানান, পাঁচটি বুথের এজেন্টদের কার্ড সই করে নিয়েছেন তাঁরা। অনুপস্থিতির ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের তিনটি টিম, ২২৫ পুলিশ সদস্য ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার। প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন পুলিশ সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্স চারটি, মোবাইল টিম ছয়টি ছাড়াও থানায় স্ট্যান্ডবাই রয়েছে আরো এক প্লাটুন পুলিশ।
নির্বাচনের আগে নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। এ ঘটনার পর বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।