গৃহবধূ নির্যাতনে শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজন কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহীতে মহানগরীর ডিঙ্গাডোবায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রিফাহ তাসফিয়া সালমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই ভাসুরের জামিন বাতিল করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পরে তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

তাঁরা হলেন সালমার শ্বশুর ফজলুল হক (৫৬), শাশুড়ি জাহানারা বেগম সুজি (৫০) এবং ভাসুর ফয়সাল (৩০) ও সজীব (২৮)। তাঁরা মামলা দায়েরের পর আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। একই ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি তাসফিয়ার স্বামী শামিউল হক সোয়াদ ওরফে সোহাগ (২৬) মামলা দায়েরের পর থেকেই কারাগারে আছেন।

আদালত সূত্র জানায়, আজ দুপুরে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুন্না সাহা তাঁদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মোজাম্মেল হক এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

নগরীর ভাটাপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে রিফাহ তাসফিয়া সালমা (২২) দুই বছর আগে সোহাগকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়েসন্তান হয়। গত ১১ জুলাই ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে লাঠি, রড ও লোহার পাইপ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাসফিয়াকে গুরুতর আহত করেন তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে তাসফিয়ার দুই হাত ও এক পা ভেঙে যায়। ফেটে যায় বুক ও পাঁজরের দুটি হাড়। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর মাথায় সেলাই লাগে ১৬টি। এ ঘটনায় তাসফিয়ার মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।

গত ১১ জুলাই নির্যাতনের শিকার হয়ে ওই দিন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সালমা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ জুলাই হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে গিয়ে স্বামীর নির্যাতনের জবানবন্দি দেন তিনি।