এমপিকে দেখে বরের দৌড়

Looks like you've blocked notifications!
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না আজ বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের একটি বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। কনের ছবি ঝাপসা করে দেওয়া হলো। ছবি : এনটিভি

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। এ সময় তাঁকে দেখে শিশু কনেকে ফেলে বর, কনের বাবা-মা ও বরযাত্রীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

আজ বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে একই উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ধলডোব গ্রামের আবদুল ওয়াদুদ নামের এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা বুধবার। এ দিন দুপুরে প্রায় ৪০ জন অতিথি নিয়ে বড় মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে খাবার শেষ করে বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

এ সময় এই বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সারা দেশে জনসচেতনতামূলক কাজে জাতীয় সংসদ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা-মাসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়।

ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। এ সময় মেয়েটি বিয়েতে নিজের অসম্মতির কথা উল্লেখ করে পড়াশোনা করার আগ্রহের কথা জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল খান, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ হেলাল উদ্দিন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সংসদ সদস্য আরো বলেন, ‘অনেক জনপ্রতিনিধি আছেন যাঁরা ভোটের ভয়ে বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে তাদের পাশে আছি, থাকব। জনগণের জন্য ভালো করার ফলে কেউ যদি আমার প্রতি রুষ্ট হয়, এতে আমি ভয় পাই না। কারণ আমি জনগণের মঙ্গলের জন্যই কাজ করছি।’