ভোলায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, অন্ধকারে পুরো জেলা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

ঝড়ো বাতাস, ভারি বর্ষণ ও পূর্ণিমার জোয়ারে সৃষ্ট পানির তোড়ে ভোলার মেঘনা ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে পুরো জেলা।

 

গত পাঁচ-ছয়দিন ধরেই ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ছয়-সাত ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে ঝড়ো বাতাস আর ভারি বৃষ্টিপাত যোগ হওয়ায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। এদিকে গাছপালা ভেঙে পড়ায় বন্ধ রয়েছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। অন্ধকারে রয়েছে জেলা শহর ও উপজেলাগুলো।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভোলা সদর, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে এসব গ্রামের। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভোলা সদর পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ড ও তজুমদ্দিন উপজেলার শহর অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছে না এসব এলাকার মানুষ। পানিবন্দি এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।