শুল্ক ছাড়াই আখাউড়া দিয়ে চাল গেল ত্রিপুরায়

Looks like you've blocked notifications!

শুল্ক ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২৭৩ মেট্রিক টন চাল গেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ১৬টি কাভার্ডভ্যানে করে এ চাল পৌঁছেছে। এর আগে ভোর ৪টায় আশুগঞ্জ বন্দর থেকে এ চাল নিয়ে ত্রিপুরার উদ্দেশে ছেড়ে আসে কাভার্ডভ্যানগুলো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মানবিক কারণে শুল্ক ছাড়াই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় খাদ্যশস্য (চাল) বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পরিবহনের অনুমোদন লাভ করে ভারত। এরই মধ্যে চুক্তির আওতায় ২০১৪ সালে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ২০১৫ সালে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় পৌঁছেছে। ওই চালের আরেকটি চালান নিয়ে এমভি অভি নামের জাহাজটি ১৪ আগস্ট কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে রওনা করে। ভারত সরকারের সহায়তায় প্রায় দুই হাজার ৩০০ টন চাল নিয়ে জাহাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে গত মঙ্গলবার বিকেলে নোঙর করে। গতকাল বুধবার সকালে জাহাজ থেকে চাল খালাস করে কাভার্ডভ্যানে লোডিং করা হয়। 

এ চাল গতকাল ত্রিপুরায় পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে গতকাল ত্রিপুরায় চাল পরিবহন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব চাল ত্রিপুরার আগরতলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ৪৫০ কিলোমিটার নৌপথ ও ৫০ কিলোমিটার স্থলপথ ব্যবহার করা হলেও মানবিক কারণে কোনো প্রকার শুল্ক নেওয়া হচ্ছে না। 

চাল পরিবহনে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনবিস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের স্থানীয় ঠিকাদার জিয়াউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘গতকাল সকাল ১০টা থেকে জাহাজ থেকে চাল আনলোড করে কাভার্ডভ্যানে লোড করা হয়। ১৬টি কাভার্ডভ্যানে চাল লোড করা হয়। প্রতিটি কাভার্ডভ্যানে ১৮ দশমিক ২৫ টন করে চাল লোড করা হয়। আজ ভোর ৪টায় এই কাভার্ডভ্যানগুলো আখাউড়ার উদ্দেশে আশুগঞ্জ ছেড়ে যায়।’ 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস থেকে  সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে জাহাজ থেকে কাভার্ডভ্যানে চাল ওঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। শুল্ক ছাড়া সব ধরনের চার্জ পরিশোধ করে এসব চাল ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’