খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী

‘জেনেশুনে সিটি নির্বাচনে কেন?’

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন যদি ঠুঁটো জগন্নাথ আর সরকারের আজ্ঞাবহই হয়, তাহলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি ঠুঁটো জগন্নাথ আর সরকারের আজ্ঞাবহই হয়, তাহলে জেনেশুনে আপনারা এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কেন?’

গতকাল রোববার খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিতে আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি আমাদের প্রশ্ন, কী করলে নির্বাচন কমিশন শুদ্ধ হবে? নির্বাচন কমিশনকে কি তাঁর আজ্ঞাবহ হতে হবে? পালকি সাজিয়ে তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দিলেই কি নির্বাচন কমিশন শুদ্ধ হবে?’

হাসানুল হক ইনু দাবি করে বলেন, ‘অতীতে সেনাবাহিনীকে কখনোই বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় শুধুমাত্র সিভিল প্রশাসনের সাহায্যের জন্য। সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার যে দাবি খালেদা জিয়া  করেছেন, তা শুধু অজ্ঞতাই নয়, জ্ঞানপাপও বটে।’
 
খালেদা জিয়াকে আগুন-সন্ত্রাসের নেত্রী ও গণতন্ত্রের দুশমন হিসেবে আখ্যা দিয়ে জাসদ গণবাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল হক ইনু তার তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসবাদী-নাশকতা-অন্তর্ঘাত-সহিংসতা ও আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারার প্রতিশোধ নেবে জনগণ। রাজপথে খালেদা জিয়াকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজেই গণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতিতে চলে গেছেন। তিনি ওয়ানওয়ে টিকিট কেটেছেন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফেরার রিটার্ন টিকিট সাথে নেননি। তিনি সন্ত্রাসবাদের মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন।’

লিখিত বক্তব্যের সাথে সাঈদ খোকনের প্রচারণা!

এদিকে তথ্যমন্ত্রীর তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সরকারদলীয় প্রার্থী সাঈদ খোকনের পক্ষে আওয়ামী যুবলীগের প্রকাশ করা দুটি লিফলেটও পিন দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুলে লিখিত বক্তব্যের সঙ্গে লিফলেট দুটি চলে গেছে।’