তুঁতচাষে দারিদ্র্যজয় পঞ্চগড়ের চাষিদের
তুঁত চাষের মাধ্যমে সহজেই দারিদ্র্য বিমোচন করা যায় বলে মনে করছেন পঞ্চগড়ের চাষিরা। আর তাই এই জেলায় বাড়ছে তুঁত চাষ করে সাবলম্বী মানুষের সংখ্যা।
আজ বুধবার পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া আইডিয়াল রেশমপল্লীতে রেশম র্যালি ও চাষি সমাবেশে এসব কথা বলেন চাষিরা।
রেশম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এই র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সকালে সাকোয়া আইডিয়াল রেশম পল্লী থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সাকোয়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং শেষে রেশমপল্লীতে চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল। ঠাকুরগাঁও জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যক্রমের সহকারী পরিচালক সুলতান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আবু সেলিম, সাকোয়া ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজ, গবেষণা কর্মকর্তা শেখ ফজলুল হক মণি, রেশম চাষ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, রেশমচাষি ভবেন্দ্র রায় ও যশদা রানী বক্তব্য রাখেন।
রেশমচাষি ভবেন্দ্র রায় ও যশদা রানী দুজনেই বলেন, রেশম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। তুঁতচাষে তেমন পুঁজি ও শ্রমের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে রেশম সুতার বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় তুত চাষ করে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব।
রেশম চাষ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ও রেশমশিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ও সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ দুই উপজেলায় আইডিয়াল রেশমপল্লী গঠন করা হয়েছে। এই দুই উপজেলার ৭৫ জন চাষিকে আইডিয়াল রেশমপল্লীর আওতায় এনে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেশম চাষে উন্নত তুঁতগাছের চারা, পলু ও পলু পালনে ঘরসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে এই এলাকায় দিন দিন রেশম চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
দেশে রেশম সুতার চাহিদা প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, এর বিপরীতে উৎপাদন হয় মাত্র ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিক টন। এই চাহিদা পূরণে রেশম শিল্প উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।