দক্ষিণে জিতলেন খোকন

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মঙ্গলবার নিজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বিজয়চিহ্ন দেখাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী সাঈদ খোকন। ছবি : ফোকাস বাংলা নিউজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত সাঈদ খোকন মেয়র হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে দুই লাখ ৪১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। সাঈদ খোকন ইলিশ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা মির্জা আব্বাস মগ প্রতীকে পেয়েছেন দুই লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট।

urgentPhoto

মঙ্গলবার দিনভর ভোট শেষে সন্ধ্যার পর থেকে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ। তিনি জানান, এ সিটি করপোরেশনে গোলযোগের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ জন।

এ নির্বাচনে ৩৯০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৯৭ সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ২০ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৮৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুল হক। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে এক লাখ ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির। এখানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এম মনজুর আলম। নাছির সাবেক মেয়র মনজুরকে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।  

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টা পরই ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনজুর আলম।

এরপর দুপুরে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তারপর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। প্রায় কাছাকাছি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী বজলুর রশিদ ফিরোজ এবং গোলাম মওলা রনিও নির্বাচন বর্জন করেন।

এ ছাড়া বেশ কিছু কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন।

তিনি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশা ব্যক্ত করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। যেসব কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।

আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

এ সংক্রান্ত আরো খবর:

নির্বাচন বর্জন করলেন রনিও
ভোট বর্জনের কারণ জানালেন আফরোজা আব্বাস