ফরিদপুরে প্রসূতির মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ইউনিক প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে চিকিৎসক জানিয়েছেন, একলামশিয়াজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত জেসমিন আক্তার (১৮) বোয়ালমারী উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের আরাফাত শেখের স্ত্রী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের শ্বশুর আতিয়ার রহমান জানান, সন্তান প্রসবের জন্য আজ সকালে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় জেসমিনকে। ১০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। জেসমিনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক আচরণ করতে থাকে।

‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, জেসমিন মারা গেছেন আর তার সন্তান বেঁচে আছে। আমার ছেলের বৌকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে’, অভিযোগ করেন আতিয়ার রহমান।

ইউনিক প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসক কাউয়ুম জানান, একলামশিয়া নামে একটি রোগ ছিল জেসমিনের। যে কারণে রোগীর হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আর এ কারণে অ্যানেসথেশিয়ায় প্রতিক্রিয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা যে কারো হতে পারে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের মালিক বা অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি সেখানে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয় এবং পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।