ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

সম্পাদকের ঘাড়ে কয়টা মাথা যে সরকারের বিরুদ্ধে লিখবে

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পৌর মিলনায়তনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, আমি মিডিয়া দিতেও পারি, মিডিয়া নিতেও পারি। এরপর কোন সম্পাদকের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে, সে আপনার (সরকারের) বিরুদ্ধে লিখবে। ফলে সে আর বিপক্ষে লেখে না, সবকিছু পক্ষেই লিখতে থাকে। আর কাগজের কাটতি হতে হবে তো, সেই জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে লিখতে থাকে।’

বিএনপির মহাসচিব এ সময় আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র হলে তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সে জন্য তারা সুর তুলেছে আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রকে বাদ দেয় না। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয় না, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয় না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয় না। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলের কথা বলার অধিকার সাংবিধানিকভাবে রক্ষা করা হয়।’

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে পীরগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সরকার আর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিনিধিত্ব করে না বলেই অবিলম্বে বিরোধী দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা প্রয়োজন।

‘কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) শোনেননি। তাঁরা জানেন, যদি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সে জন্যই তারা সব সময়েই এই আলাপ-আলোচনা সমঝোতা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাতিল করে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, অন্যদিকে তারা বিভিন্ন অজুহাতে দেশে একটা একনায়কতন্ত্র স্বৈরাচারী ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে।