‘সামাজিক পরিবর্তনে’ পুরস্কার পেলেন রাফিদা আহমেদ বন্যা

Looks like you've blocked notifications!
রাফিদা আহমেদ বন্যা ও তাঁর স্বামী মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। ছবি: ফেসবুক থেকে

মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ২০১৫ সালের ‘দ্য ববস — বেস্ট অব অনলাইন অ্যাকটিভিজম’ পুরস্কার পেয়েছেন রাফিদা আহমেদ বন্যা। আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে লেখালেখির মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার জন্য জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে রাফিদা আহমেদকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে। 

রাফিদা আহমেদ বন্যা গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। সে হামলায় তাঁর স্বামী অভিজিৎ রায় প্রাণ হারান।

ডয়েচে ভেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ, সিরিয়া ও মেক্সিকোর তিন ব্লগারকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুন মাসে জার্মানির বন শহরে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব গণমাধ্যম ফোরামে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় সে বিজ্ঞপ্তিতে।

সামাজিক পরিবর্তন, গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা এবং শিল্প ও সংবাদমাধ্যম—তিনটি  বিভাগে এ বছর পুরস্কার দিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

দ্য ববস’র ‘শিল্প ও সংবাদমাধ্যম’ ক্যাটাগরিতে জুরি পুরস্কার জয় করেছে ‘জয়তুন, দ্য লিটেল রিফিউজ’ প্রকল্পটি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে গৃহহীন সিরীয়-ফিলিস্তিনি শরণার্থী জয়তুনের জীবনসংগ্রাম তুলে ধরা হয়েছে এই ব্লগে।

এ ছাড়া গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা বিভাগে জুরি পুরস্কার জয় করেছে মেক্সিকোর ‘রেনকো ইলেকট্রোনিকো’ প্রকল্প। স্বেচ্ছাসেবী এই প্রকল্পের আওতায় সে দেশের মানুষকে ইন্টারনেটে তথ্য সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে একদল হ্যাকার।

বাকস্বাধীনতা বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন সৌদি আরবে কারাবন্দী ব্লগার রাইফ বাদাউয়ি।

এ ছাড়া এ বছর প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষা বিভাগে ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ বা জনপ্রিয় পুরস্কার পেয়েছে ‘টুনস ম্যাগাজিন’। এ পত্রিকাটির সম্পাদক ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রবাসী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান। ২০০৭ সালে তাঁর আঁকা একটি কার্টুনকে কেন্দ্র বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল শনিবার জার্মানির বার্লিনে ‘দ্য ববস’ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম চূড়ান্ত করে জুরি বোর্ড।