বালুর বস্তা ফেলেও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট রক্ষা করা যাচ্ছে না
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙনের হাত থেকে ফেরিঘাট রক্ষা করতে এরই মধ্যে নয় হাজার বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলা হয়েছে। তবু ঘাট রক্ষা করা যাচ্ছে না।
শনিবার মধ্যরাতে ৪ নম্বর ফেরিঘাটে যানবাহন ওঠা-নামার সংযোগ সড়কটির কিছু অংশ আবারও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ১ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাট দুটি চালু রয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সংযোগ সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু করলেও ঘাটটি কখন চালু হতে পারে সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর জানান, প্রাথমিকভাবে ঘাট রক্ষার জন্য দুই কোটি ৭০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহনমন্ত্রী দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনের পর তাঁর নির্দেশ মতে জরুরি ভিত্তিতে ঘাটগুলো রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঘাট রক্ষার জন্য নয় হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যেই পাউবোর ফরিদপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হেকিম ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংসদ সদস্যের দুজন প্রতিনিধি ও স্থানীয় পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী। নতুন করে ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় চলমান দুটি ফেরিঘাটও হুমকির সম্মুখীন।
প্রশাসনিকভাবে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ঘাটগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ শেষে বেশির ভাগ মানুষ রোববার ঢাকামুখী হওয়ায় সোমবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তেমন যানজট দেখা যায়নি। বিকেল ৬টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন,পণ্যবাহী ট্রাকসহ তিন শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন নদী পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।