খুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

আগামী প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
খুলনায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সংক্রান্ত এক কর্মশালায় আজ মঙ্গলবার বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ছবি : এনটিভি

সরকারের নেওয়া স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আগামী প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় গৃহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা গেলে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহী হবে। তা ছাড়া একই রকমের খাবার পরিবেশনের ফলে তাদের মধ্যে হীনমন্যতাও থাকবে না।

আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনার একটি হোটেলে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় ন্যাশনাল স্কুল ফিডিং পলিসি-২০১৬ প্রণয়ন শীর্ষক বিভাগীয় মতবিনিময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সুবাস চন্দ্র সাহা, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) রাম চন্দ্র দাস।

কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্টে জাতীয় স্কুল ফিডিং নীতি, ২০১৬-এর খসড়া উপস্থাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান মো. নুরুন্নবী।

স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য শিক্ষা এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পুষ্টিহীনতা ও স্কুল সময়কালীন ক্ষুধা নিবৃত্তি। প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ২০১১ সাল থেকে চলমান। এরই মধ্যে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত ৯৩টি উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ লাখ শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিশুকে প্রতিদিন অন্তত একবার স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় খাবার প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।