২০১৬ নৌদুর্ঘটনামুক্ত : নৌমন্ত্রী
চলতি সালকে (২০১৬) নৌদুর্ঘটনামুক্ত বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
আজ শুক্রবার কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে মন্ত্রী এ দাবি করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০১৬-কে নৌদুর্ঘটনামুক্ত বছর ঘোষণা করেছি। আমরা ইনশাল্লাহ আশা করি, আমাদের অনুমোদিত যেসব নৌযান, লঞ্চ, যেগুলো আছে, সেগুলো এই তিন মাসে ইনশাল্লাহ কোনো দুর্ঘটনায় পতিত হবে না।’
বরিশালের বানারীপাড়ায় লঞ্চডুবির ব্যাপারে নৌমন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লঞ্চটি দুর্ঘটনায় পড়েনি। নদীর পাড় ভেঙে এই প্রাণহানি হয়েছে।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ১১৮টি নদী খনন করা হবে। এরই মধ্যে এক হাজার কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হয়েছে।
৪২ বছরের উন্নয়নবঞ্চিত দেশের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌবন্দর উন্নয়নে যা কিছু করা প্রয়োজন, সব কিছু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
নৌমন্ত্রী দাবি করেন, দল বাঁচানোর স্বার্থে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতেই হবে। তিনি আরো বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
পরে শাজাহান খান সোনাহাট স্থলবন্দরের অধিগ্রহণ করা ১৫ একর জমির ৫০ জন মালিককে ক্ষতিপূরণের সাত কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৭ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা, সিঅ্যান্ডএফ সভাপতি জুয়েল আহমেদ।
পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী চিলমারী নৌবন্দরকে সচল করার লক্ষে চিলমারী নৌবন্দর পরিদর্শন করেন নৌমন্ত্রী।