আতাউস সামাদ বস্তুনিষ্ঠতার জন্য আপস করতেন না
প্রয়াত সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ব্যাপারে কখনো আপস করতেন না।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত স্মরণসভায় এ কথা বলেন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী।
সাংবাদিক আতাউস সামাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সামাদ স্মৃতি পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা পেশাজীবী সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দেশে বর্তমানে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করার মতো সাহসী সাংবাদিকের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কারণে সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা রাখতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক সাখাওয়াৎ আলী খানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন স্মৃতি পরিষদের পক্ষে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, এশিয়ান এজ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের (একাঙশ) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, কবি হাসান হাফিজ, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিবিসির ঢাকা প্রতিনিধি কাদির কল্লোল, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আতাউস সামাদের ছাত্র কাজী রওনাক হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতায় পড়াশোনা না করে আতাউস সামাদ যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। চুলচেরাভাবে তথ্য যাচাই না করে তিনি নিজে যেমন কোনো রিপোর্ট লিখতেন না, তেমনি সহকর্মীদেরও লিখতে দিতেন না। উভয় পক্ষের ভাষ্য ছাড়া কোনো খবর তিনি ছাপতে দিতেন না। তাঁর আরেকটি বিশেষ গুণ ছিল যে তিনি স্পটে গিয়ে রিপোর্ট করতে পছন্দ করতেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁকে জেল খাটতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।