খুবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিত্তবানরা অবদান রাখতে পারেন

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা অবদান রাখতে পারেন।

আজ বুধবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর একাডেমিক ভবনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে শুরু করে খুলনার উন্নয়নে লিয়াকত আলী অপরিসীম অবদান রেখেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভবনের মিলনায়তন আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা আমরা অনেক দিন ধরে উপলব্ধি করছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা মরহুম সাংবাদিক লিয়াকত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সাংবাদিক লিয়াকত আলীর মতো একজন গুণী মানুষের নামে মিলনায়তনটির নামকরণ করা হয়েছে।’

জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ খান আতিয়ার রহমান বলেন, সাংবাদিক লিয়াকত আলী সবার কাছে প্রিয়জন ছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে খুলনার উন্নয়নে আন্দোলন করার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছেন। গল্লামারী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধসহ খুলনার সব বড় উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে সফল হয়।

দৈনিক পূর্বাঞ্চল ও দি ডেইলি ট্রিবিউন পত্রিকার সম্পাদক ফেরদৌসী আলী এ মিলনায়তনটির নাম সাংবাদিক লিয়াকত আলীর নামে নামকরণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্যদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক লিয়াকত আলীর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনান দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিক লিয়াকত আলীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং পরে তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর একটি ডুকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং খুলনার প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।