রাঙামাটিতে ভবনধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
রাঙামাটি শহরে গতকাল মঙ্গলবার ধসে পড়া এক ভবন থেকে আরেকটি শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করেন নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। এ নিয়ে ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে।
গতকাল বিকেলে ধসে পড়া ভবন থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চারজনকে মৃত ও পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ভবনের আটকেপড়া একটি কক্ষ থেকে ট্রাকচালক জাহিদ ও তাঁর এক সন্তান সামিদুলকে মৃত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু আরেক ছেলেশিশু সাজিদুলকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
বুধবার সকালে উদ্ধার অভিযানে নেমেই সাজিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহিলা কলেজ সড়কের হ্রদের পাড়ে অবস্থিত নঈমউদ্দিন টিটু নামের এক ঠিকাদারের মালিকানাধীন দোতলা ভবন দেবে যেতে শুরু করে। মাত্র ১০ মিনিট সময়ের মধ্যে ভবনটির নিচতলা পুরো দেবে যায়। এ সময় ভবনের দুটি ফ্লোরে অন্তত চারটি পরিবার আটকা পড়ে। পাশের একটি নারকেলগাছের কারণে ভবনের দোতলা তলিয়ে যেতে বেশ সময় নিচ্ছিল।
ধসে পড়া ভবনের বাসিন্দা ও উদ্ধার হওয়া এক নারী জানিয়েছেন, বিকেল থেকেই ভবনটির সড়কের পাশের মাটি সরছিল এবং ভবনটি ধীরে ধীরে হেলে পড়তে শুরু করে।
কিন্তু হঠাৎ বিকট শব্দে ভবনটি মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করে।
ধসে পড়া ভবনটিতে বসবাসকারী চারটি পরিবারের শিশুসহ ১০ সদস্য আটকা পড়ে। পরে ভবনটি থেকে মৃত অবস্থায় ট্রাক ড্রাইভার জাহিদ (৪২), তাঁর ছেলেশিশু সামিদুল (৭), গৃহশিক্ষিকা ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী উম্মে হাবিবা রুনা (২২), আরেক বাসিন্দা রফিকের মেয়ে পিংকি (১৩) এবং আজ সর্বশেষ সাজিদুলকে (১০) উদ্ধার করা হয়।
ভবনধসের পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে আসছিলেন। আজ সকালে সাজিদুলকে উদ্ধারের পর অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত নৌবাহিনীর কমান্ডার রায়হান বলেন, আর কেউ ভবনে আটকে না থাকায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।