নতুন সমুদ্রসীমা ও সম্পদ রক্ষার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বঙ্গোপসাগরে নতুনভাবে অর্জিত সমুদ্রসীমা ও সেখানের সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য নৌবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বার্ষিক মহড়া শেষে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা ও নাবিকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ এ আরোহণ করে নৌবাহিনীর দুই ঘণ্টাব্যাপী রোমাঞ্চকর মহড়া ‘এক্সারসাইজ সি থান্ডার-২০১৫’ দেখেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
টানা ১৬ দিনের মহড়ার শেষ দিনে সাগরে গোলা বর্ষণ ও রণতরী পর্যবেক্ষণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ মহড়ার লক্ষ্য ছিল নতুনভাবে অর্জিত সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা, সামুদ্রিক এলাকায় নজরদারি, উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিসমূহের সুরক্ষা এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতি নৌবাহিনীর সদস্যদের পেশাদারত্ব ও দক্ষতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম। আমি আশা করি, আপনারা নৌবাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বাহিনী রূপে গড়ে তুলবেন।’
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রবিরোধ মামলায় জয়ী হয়ে বিশাল এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। নতুনভাবে উদ্ধারকৃত সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নৌবাহিনীকে সমুদ্র সম্পদ রক্ষা বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাস ও মৎস্য সম্পদ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি সমুদ্র পথে দেশের ৯৫ শতাংশ বিদেশি বাণিজ্য রক্ষায় সমুদ্র পথের নিরাপত্তার ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া তিনি সামুদ্রিক এলাকায় চোরাচালানি ও অবৈধ মৎস্য শিকার প্রতিরোধেরও আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘সমুদ্র জয়’ ক্রয়ের পাশাপাশি ‘আবুবকর’ ও ‘আলী হায়দার’ নামে চীন থেকে দুটি জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এরই মধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নৌবাহিনী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নৌবাহিনী সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।’