যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুরে দেশের প্রথম আট লেনের সড়ক
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর পর্যন্ত রাস্তাটিকে আট লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এটিই হবে দেশে প্রথম আট লেনবিশিষ্ট রাস্তা। এ কাজে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩১ কোটি টাকা। এরই মধ্যে ৯০ কোটি টাকার কাজ হয়ে গেছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সাত কিলোমিটারের কিছু বেশি রাস্তার আট লেন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, আগামী ঈদে বাংলাদেশে কোনো সড়কেই ঘরমুখো মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। মন্ত্রীর সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা।
যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আট লেনের সড়কের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু সামনে বর্ষাকাল তাই এই সময়ে কাজ বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ কাজ আগামী নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। এটি বাংলাদেশের প্রথম আট লেনের প্রকল্প। তিনি বলেন, বর্ষাকাল, রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা ও আশপাশের কাজ শেষ হয়ে গেছে।
‘এ ছাড়া কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী এই তিনটি সেতুর কাজও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি- জাইকার সহযোগিতায় আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে শুরু হবে। তিনটি সেতুর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় হাজার কোটি টাকা। সেতুগুলো চার লেনবিশিষ্ট হবে।’
urgentPhoto
ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ না দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, (চুক্তি পাস) এটা দিবালোকের মতো সত্য। এটাকে তো চাপা দেওয়া যাবে না। কেউ যদি ধন্যবাদ না দেয় তাহলে সেটা তাঁর দীনতার পরিচয়, হীনমন্যতার পরিচয়। আমি শুধু প্রশ্ন করতে চাই এবং বাংলাদেশের মানুষ জানে, বিএনপি সরকারের আমলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত চুক্তি লাল কার্পেটের নিচে চাপা পড়ে ছিল। লাল কার্পেট সংবর্ধনা হয়েছে। কিন্তু নয়াদিল্লির সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ চুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করেনি।
‘এত বড় কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে (খালেদা জিয়া) ধন্যবাদ দিয়েছেন। এ জন্য তাঁকে (খালেদা জিয়া) ধন্যবাদ। কিন্তু আরেকটা সাইড উনি ভুলে গেছেন। এত বড় কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে ধন্যবাদ না দেওয়া হীনমন্যতার পরিচায়ক বলে আমি মনে করি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগমী ৬-৭ জুন নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসছেন। তার আগেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। সেখান থেকে ইতিবাচক আমরা যে আভাস পাচ্ছি, তাতে তিস্তার চুক্তি এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা।’