আ. লীগ নেতা ইয়াসিনও জড়িত, দাবি নজরুলের পরিবারের
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দাখিলকৃত চার্জশিটে নারাজি দিয়েছে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবার। নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি সোমবার সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে নারাজি দাখিল করেন। তিনি দাবি করেন, শুধু র্যাব নয়, নূর হোসেনের পরিবারের সদস্য ও সহযোগিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তবে একই ঘটনায় নিহত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের পরিবার চার্জশিটের ওপর আস্থা জ্ঞাপন করে আসামিদের দ্রুত বিচার দাবি জানিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সাত খুন মামলায় গ্রেপ্তারকৃত র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, কমান্ডার এম মাসুদ রানা ও মেজর আরিফসহ ৩০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদের বিচারের দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চলছিল। আসামিদের ফিরিয়ে নেওয়ার সময় পিজন ভ্যানের ওপর জুতা নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।urgentPhoto
সাত খুনের মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেন, নূর হোসেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিনের বাড়িতে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওই সময় নূর হোসেনের ভাইরা সেখানে ছিল। এই বিষয়গুলো ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। মামলার পরিকল্পনাকারীরাও হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আরো ১৬ জনের নাম এলেও অভিযোগপত্রে তাঁদের নাম আন্তর্ভুক্ত করেনি। চার্জশিটে তাঁদের নাম আসতে হবে।
সাত খুনের ঘটনায় নিহত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম চার্জশিটে এসেছে বলে তিনি মনে করেন। এখন তিনি আসামিদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
আর সরকার পক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, পুলিশের তদন্তে যাঁদের নাম এসেছে তাঁরাই চার্জশিটভুক্ত আসামি। এর বাইরে করো নাম দেওয়ার সুযোগ নেই।
আগামী ৮ জুন নারাজির শুনানি এবং আসামিদের পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।