বুয়েটের লাঞ্ছিত সেই শিক্ষকেরই গ্রেপ্তার দাবি ছাত্রলীগের

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েট ক্যাম্পাসে আজ সোমবার গণসংহতি ও সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান। ছবি : এনটিভি

শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং লাঞ্ছিত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েট ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনটি।

আজ সোমবার সকালে বুয়েট ক্যাম্পাসে গণসংহতি ও সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান এ ঘোষণা দেন। তবে খুব দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের  ভিসি খালেদা একরাম। 

গত ১২ এপ্রিল দুপুরে বিভাগীয় অফিসে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনকের নেতৃত্বে ১৫-২০ নেতাকর্মী ওই শিক্ষককে কক্ষ থেকে বের করে মারধর করতে থাকেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁকে টানতে টানতে ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে নিয়ে যান।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাফেটেরিয়া থেকে অধ্যাপক জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা জাহাঙ্গীরের পক্ষ নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে জড়ো হন। তবে এ ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ছাত্রলীগ।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট সিন্ডিকেট গত ২০ এপ্রিল শুভ্র জ্যোতি টিকাদার, আবু সাঈদ কনকসহ ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।