জুনে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে নৌ চলাচল

Looks like you've blocked notifications!

মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে পুরোপুরিভাবে নৌ চলাচল শুরু হবে আগামী জুন মাসে। এই চ্যানেলে নৌ চলাচল শুরু হলে সুন্দরবনের ভেতরে শ্যালা নদীতে নৌ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার খনন করা হবে। এখন পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। চায়না হারবার কোম্পানি ও বসুন্ধরা যৌথভাবে পাঁচটি ড্রেজার ও এক্সক্যাভেটর দিয়ে খননকাজ পরিচালনা করছে। জুনের মধ্যে খননকাজ শেষে চ্যানেলটি পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে। এখন মংলা থেকে রামপালের বগুড়ার খাল পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার খননের কাজ চলছে। চ্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত ৩২টি খাল খনন করতে হবে।

এই চ্যানেলের নাব্যতা ধরে রাখার জন্য ছয়টি করণীয় নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—অব্যাহতভাবে মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চালিয়ে দেওয়া, বগুড়া খালের দুই কিলোমিটার টাইডাল বেসিন করা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফয়লাহাটের স্লুইসগেট জরুরি ভিত্তিতে অবমুক্ত করা, চ্যানেলসংলগ্ন চিংড়ি ঘেরগুলোর মুখ খুলে দেওয়া, আগামী অর্থবছরে চ্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত ৩০টি খাল খনন করা।

সুন্দরবনে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় শ্যালা নদীতে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছিল জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংগঠন।