ভালুকায় বাসের ধাক্কায় মুক্তিযোদ্ধা নিহত, ফখরুলের শোক

Looks like you've blocked notifications!

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ সময় ফুলবাড়িয়া বাহারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় একটি বাস তাঁদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আবদুল কাদেরের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের ও অধ্যক্ষ আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান গতকাল মোটরসাইকেলে করে একটি সভায় যান। ফেরার পথে ভালুকার ভরাডোবা এলাকায় একটি বাস তাঁদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারা যান আবদুল কাদের। আহত হন আবু হানিফ। বাসটি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। আহত আবু হানিফকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। 

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

বিএনপি মহাসচিবের শোক : আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম আবদুল কাদের ফুলবাড়িয়া উপজেলা যুবদলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তা এলাকার নেতাকর্মীরা কোনোদিন ভুলবে না। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর সাহসী ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর লড়াকু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও জাতি তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। মরহুমের এলাকাবাসীর মতো আমিও তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।’

বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় মরহুম আবদুল কাদেরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপর এক শোকবার্তায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘আবদুল কাদেরের হৃদয়বিদারক মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফুলবাড়িয়া উপজেলা যুবদলকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে আবদুল কাদেরের অবদান কোনোদিনই ভুলবার নয়। দেশকে হানাদারমুক্ত করতে একাত্তরের রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের জন্যও জাতি তাঁকে কোনোদিন বিস্মৃত করবে না।’

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আবদুল কাদেরের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার, নিকটজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান।