জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনসভা-পথসভার সুযোগ নেই

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। এনটিভির পুরোনো ছবি

দেশে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার জন্য কোনো মাইক ব্যবহার, জনসভা, পথসভা করার সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। আজ মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে তিনি এসব তথ্য জানান।

কমিশনার বলেন, ‘জেলা পরিষদ আইন অনুসারে স্থানীয় সরকারের জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনের তারিখ গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার ঘোষণা করে। আমরা জানতে পেরেছি ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য সরকার তারিখ ঘোষণা করেছে। আমরা এ নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি ও নির্বাচন পরিচালনাবিধি তৈরির কাজ করছি। কমিশন বৈঠকে আগামী ২৭ তারিখে এটা চূড়ান্ত করা হবে।’

আচরণ বিধিমালা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, এ নির্বাচনের আচরণবিধিটা একটু আলাদা হবে। যেহেতু এ নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু ভোটার থাকবেন যারা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের থেকে হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি তারাই ভোট দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘সেই জন্য এ নির্বাচনে প্রচারণার জন্য কোনো মাইক ব্যবহার করা, জনসভা, পথসভা করার বিষয়গুলো আমরা বাদ দিয়েছি। শুধু ঘরোয়া সভা ও অন্যান্য প্রচারণা করতে পারবে। এ ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনের মতো সরকারি সুবিধাভোগীরা এ নির্বাচনের প্রচারণায়ও অংশ নিতে পারবে না- এভাবেই আচরণ বিধিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বা মাঝামাঝিতে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরাই শুধু এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। আর প্রার্থীর প্রস্তাবক-সমর্থক হতে হবে তাঁদেরই। জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করে উপজেলা প্রতি দুটি করে কেন্দ্র রাখা হতে পারে।

৬ অক্টোবর সংসদ অধিবেশনে পাস হওয়া ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন)বিল, ২০১৬’ পাস হয়। প্রতিটি জেলায় একজন চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনসাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে ইসি সূত্রে জানা যায়। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৫ বছরবয়সী যেকোনো ভোটার প্রার্থী হতে পারবেন।