বাক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ভাইয়ের বন্ধুকে যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি তৌহিদুল ইসলামকে (গোল চিহ্নিত) কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর এ রায় দেন। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি তৌহিদুল ইসলাম (৩২) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা পূর্বপাড়া এলাকায়। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী (২৫) সিটি করপোরেশন এলাকায় বড় ভাইয়ের একটি লেডিস টেইলার্সে সেলাইয়ের কাজ করতেন। তাঁদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করত ভাইয়ের বন্ধু তৌহিদুল। একপর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তৌহিদুল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তৌহিদুল ওই তরুণীর  সঙ্গে ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চিকিৎসার কথা বলে একই বছরের ২১ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শহরের শিববাড়ির একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায় তৌহিদুল। এতে ওই তরুণী আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে সব ঘটনা জানান। বিষয়টি তৌহিদুল ইসলামের বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা উল্টো মেয়ের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায় এবং ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। 

এ ঘটনায় তরুণীর মা ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি জয়দেবপুর থানায় তৌহিদুল ইসলাম, ভাই আশরাফুল আলম, বাবা মতিউর রহমান ও মাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে প্রধান আসামি তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ দুপুরে ওই রায় দেন।