রাঙামাটিতে প্রতিবেশীর শিশুকে রাতভর যৌন নিপীড়ন!
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় এক ব্যক্তি তাঁর প্রতিবেশীর ছয় বছর বয়সী মেয়েকে রাতভর যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ওই শিশু আজ মঙ্গলবার রাঙামাটির জেলা জজ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
শিশুটির মা ও বাবা সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের প্রতিবেশী ইকবালের স্ত্রী গত শুক্রবার দুই শিশু মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি যান। রাতে ইকবালও বাড়ি ফিরবেন না। ফাঁকা ঘরে একা থাকবে ইকবালের স্ত্রী বোনের কিশোরী মেয়ে। তাই প্রতিবেশীর গৃহবধূর অনুরোধে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাঁদের মেয়েকে পাঠান কিশোরীর সঙ্গে রাতে থাকতে। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে ইকবাল বাড়ি ফিরে তাঁর শিশু মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে অন্য কক্ষে নিয়ে রাতভর যৌন নিপীড়ন চালান। পরদিন ভয়ে মেয়ে বিষয়টি তাঁদের জানায়নি। সোমবার বাড়ি ফিরে ইকবালের স্ত্রী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই কিশোরীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো শিশুটিকে ঘটনার জন্য তাঁদের গালমন্দ করেন। তখন তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা এ পাশবিকতার বিচার চাইতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শরিফকে অভিযোগ দেন।
মীমাংসার নামে গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য শরিফ গ্রামের চা দোকানে সালিস বসান। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে হাজির হলে সালিস ভণ্ডুল হয়ে যায়।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বিষয়টি অবগত নন জানালেও পরে বৈঠকস্থলে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোয়াজ্জেম হোসেনকে পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সটকে পড়েন ইকবাল।
পরে ভণ্ডুল হওয়া ওই বৈঠক থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সাড়ে ১০টার দিকে মা-বাবাসহ শিশুটিকে কাউখালী থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য রাঙামাটির আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ।
ইউপি সদস্য মো. শরিফ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে সামাজিকভাবে সুরাহা করতেই ওই বৈঠক ডেকেছিলাম। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপে সেটা হয়ে ওঠেনি।’
কাউখালী থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। নম্বর-১০, তারিখ-৩১-১০-২০১৬। পালিয়ে যাওয়া ইকবালকে আটকের চেষ্টা চলছে।