সাংসদ আনারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনারুল আজীম আনারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
গতকাল বুধবার সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আব্দুর রউফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
আটকরা হলেন জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সার্টিফিকেট ক্লার্ক মো. কাওছার আলী এবং কালিগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, ‘সাঈদ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের নিষিদ্ধঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির তালিকাভুক্ত ক্যাডার।’
মামলার বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি জানান, উপজেলার রাইগ্রাম ইউনিয়নের বুজিডাঙ্গা গ্রামে একটি সভা করতে যান সংসদ সদস্য আনারুল। সভা শেষে ফেরার পথে গতকাল বুধবার ভোর ৫টার দিকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীদের বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলের বহরটি উপজেলার খামার মুন্দিয়া গামেজ আলী দাখিল মাদ্রসার সামনে এলে দুর্বৃত্তরা তাতে হামলা চালায়।
সেই মোটরসাইকেল বহরে সংসদ সদস্য আনারুলের থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনো বিশেষ কারণবশত তিনি তখন বুজিডাঙ্গা গ্রাম থেকে রওনা দেননি। ফলে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলের বহরে হামলা চালালেও সংসদ সদস্য বেঁচে যান বলে জানান ওসি। তিনি জানান, হামলাকারীরা বহর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার পর পরই স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আবু সাইদকে ধরে ফেলে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, বিকেলে কাওছার আলীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আজিজুল হক, যশোরের খাজুরা গ্রামের মিলন ও মাসুম জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি আমিনুল।
এ দিকে আবু সাঈদকে পুলিশ চরমপন্থী হিসেবে দাবি করলেও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, আবু সাঈদ আওয়ামী লীগ নেতা এবং ফরাশপুর কচতালা বাজারের সার ও কীটনাশকের ডিলার।
অপরদিকে সার্টিফিকেট ক্লার্ক মো. কাওছার আলীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি’ ঝিনাইদহ জেলা কমিটি। বিকেলে তাঁর মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে কমিটির নেতারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খান।