কালীগঞ্জে স্বর্ণালংকার কারখানায় কর্মচারী খুন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্বর্ণালংকার কারখানা থেকে এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই কারখানার কর্মচারী নজরুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে। নিহতের নাম শ্যামল চন্দ্র বর্মণ (৩৫)। তাঁর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে।
স্থানীয়রা ও কারখানার মালিক জানান, কালীগঞ্জ বাজারের মদিনা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গৌরাঙ্গ চৌধুরীর মালিকানাধীন অমিত জুয়েলারি দোকানের কারখানায় কাজ করতেন শ্যামল ও নজরুল। শ্যামল রাতে ওই কারখানায় ঘুমাতেন। কালীগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এ মার্কেটের নিচতলায় অমিত জুয়েলারির বিক্রয়কেন্দ্র। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামল ওই কারখানায় ছিলেন। আজ সকালে অন্য কর্মচারীরা কাজে যোগ দিতে কারখানায় আসেন। এ সময় তাঁরা কারখানার শাটার খুলে মেঝেতে শ্যামলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে এবং কারখানার পকেট গেট খোলা দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তাঁর বাম কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অমিত জুয়েলারির মালিক গৌরাঙ্গ চৌধুরী বলেন, কাজ কম থাকায় রাতে কারখানায় তেমন কোনো স্বর্ণালংকার ছিল না। তবে রাতে এক-দেড় ভরির এক জোড়া কানের দুলের কাজ করছিলেন কর্মচারীরা। কিন্তু ঘটনার পর সেটি আর পাওয়া যায়নি।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুজিবুর রহমান জানান, অমিত জুয়েলারিসহ বাজারের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানের কাজ করতেন শ্যামল ও নজরুল। নারীঘটিত বা অন্য কোনো কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় জুয়েলারির কারখানায় ঢুকে কে বা কারা ওই যুবককে খুন করে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি যন্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে কোনো কিছু খোয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা যন্ত্রটি দিয়ে বাম কানের নিচে উপর্যুপরি আঘাত করে শ্যামলকে খুন করে পালিয়ে গেছে।