বায়োমেট্রিকের কারণে কমেছে ভিওআইপি ব্যবহার

Looks like you've blocked notifications!
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এনটিভির পুরোনো ছবি

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কারণে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার হার ১০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, আগে অনিবন্ধিত মোবাইলের সিম ব্যবহার করে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার হার ছিল ৩৫ শতাংশ। সিম নিবন্ধনের কারণে এই হার ২৫ শতাংশ কমে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তারানা হালিম জানান, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের ফলে মোবাইলে হুমকি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কমে এসেছে। পাশাপাশি জনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা বেড়েছে।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহজেই তাদের চিহ্ণিত করতে পারছে বলে উল্লেখ করেন তারানা হালিম। উদাহরণ হিসেবে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী রিশার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিশার মা অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত ওবায়দুলের নিবন্ধিত সিমের সূত্র ধরে পুলিশ সাত দিনের মধ্যে তাঁকে আটক করে বলে জানান তিনি।

সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের নেতা আনু মুহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকরা জানতে চান, হুমকি দেওয়া এসব নম্বরের সূত্র ধরে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। এটা পুলিশের ব্যর্থতা কি না?

তবে এ প্রশ্নের জবাব দেননি তারানা হালিম। তাঁর বদলে সচিব ফয়েজুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ দুটি ঘটনা এখন তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে তাঁরা কোনো বক্তব্য দেবেন না।