সুনামগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

Looks like you've blocked notifications!
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে সুলেখা বেগমের মরদেহ নিয়ে স্বজনরা। ছবি : এনটিভি

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় সুলেখা বেগম নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সুলেখার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী ইউনিয়নের জাল্লাবাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুলেখার স্বামী কুদরত আলী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত, এমন অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যারা। 

খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুলেখার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

সুলেখার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা, জাল্লাবাজ গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে সুলেখা বেগমের সঙ্গে সাত বছর আগে একই গ্রামের ইস্কন্দর আলীর ছেলে কুদরত আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়ই কুদরত আলী ও তাঁর পরিবারের লোকজন সুলেখাকে মারধর করত। ১৫ দিন আগে একইভাবে মারধর করলে সুলেখা অসুস্থ হয়ে পড়েন।  এই খবর পেয়ে তাঁরা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সুলেখাকে নিয়ে আসতে চান। কিন্তু গ্রামের মুরব্বিদের আশ্বাসে সুলেখাকে সেখানে রেখে আসেন তাঁরা।

সুলেখার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, গত শনিবার একইভাবে মারধর করলে সুলেখা আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁকে কোনো চিকিৎসা করানো হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে তাঁরা খবর পান সুলেখা মারা গেছেন। পরে  শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

সুলেখার পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতনের কারণে সুলেখার  শরীর ফুলে গেছে। বিভিন্নস্থানে মারধরের চিহ্নও রয়েছে। নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কীভাবে সুলেখার মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’