ঝালকাঠিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ভাঙচুর
ঝালকাঠি শহরে গতকাল রোববার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠুর গুরুধাম এলাকার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বাধীন পক্ষ এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন মিঠু ও তাঁর পরিবার। হামলায় মিঠুর বাবা ইনসাফ আলী হাওলাদার (৭৫) আহত হন। হামলাকারীরা মিঠুর বাসায় থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার বিকেলে শহরে একটি আনন্দ র্যালি বের করে জেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলটি থেকে একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন ও সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠুর পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে শহরের পেট্রলপাম্পসংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় পাশের বিআরটিসির কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়।
এই হামলার একটু পর গুরুধাম এলাকায় সাধারণ সম্পাদক মিঠুর বাসায় হামলা হয়। মিঠুর বাবা এনছাব আলী হাওলাদার জানান, অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাসার জানালার গ্লাস এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বেশ কয়েকজন হামলাকারীরা। এতে বাধা দিতে দিলে হামলাকারীরা তাঁকে মারধর করে। যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও ছাত্রলীগ সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন এনটিভি অনলাইনকে জানান, র্যালিতে যাওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক মিঠুর নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের কর্মীরা সুপরিকল্পিতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় তাঁর পক্ষের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও ছাত্রলীগ সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে আমার বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় আমার বৃদ্ধ বাবাকেও মেরে আহত করা হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীলমণি চাকমা জানান, ঘটনার পর পুলিশ জামাল হোসেনের বাসভবন পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।