পর্যটনের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে : মেনন
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে খুলনার উদ্যোক্তা শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ পর্যটন শিল্পের ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘খুলনা অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে ইপিজেড, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ পাঁচতারা হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে জিডিপিতে যে প্রবৃদ্ধি ঘটবে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের মানুষকে পর্যটনে উৎসাহিত করতে আভ্যন্তরীণ পর্যটন ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ অঞ্চলের দর্শনীয় স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের জন্য নিয়মিত প্যাকেজ ট্যুরেরও আয়োজন করতে হবে।
খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনার রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন খুলনা বিভাগীয় প্রেসক্লাব ফেডারেশনের চেয়ারপারসন ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক আলহাজ লিয়াকত আলী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। অন্যদের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী খানজাহান আলী বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি খুলনার মুজগুন্নীতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে চার একর ৬৭ শতাংশ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।