ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ছিনতাই করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আজ বুধবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডে রেজাউল করিম (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহত ব্যবসায়ী রুদ্রকর ইউনিয়নের চর রসুন্দি গ্রামের বাসিন্দা। হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আজ বুধবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন।

মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম সরদার (৫০) মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক দিয়ে পৌরসভার মধ্যপাড়ার ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। সোহরাব শিকদারের বাড়ির সামনে এলে একদল ছিনতাইকারী তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাঁর কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পথচারী তাঁকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান। পরে তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এদিকে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোহর বাজার বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাখেন। দুপুর ২টার দিকে ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন মনোহর বাজার মোড় বণিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন মিরাজ। বক্তব্যে তাঁরা বলেন, গতকাল রাতে রেজাউল করিমকে কুপিয়ে আহত করে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এই জায়গায় এর আগেও একাধিকবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় অন্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা কি না তা এখনো জানা যায়নি। ওই ব্যবসায়ীর শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী চেতনা হারিয়ে ফেলায় তাঁর সাথে কথা বলা যায়নি। তাঁর সাথে কথা বলে জানা যাবে কী ঘটেছিল। তার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।